Search Any Info Here

ইনশাআল্লাহ আজকের পর থেকে এই পোস্ট টি পড়ার পর আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন থাকবেনা হলুদ নিয়ে।আগামি পর্বে  হলুদ দারা কিভাবে ও কোন কোন রুপচর্চা করা যায় তার বিস্তারিত আলোচনা করবো।
হলুদের গুণাগুণ :

হলুদের অপর নাম বর্ণবতী।প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ নিত্যদিনের কাজে হলুদের ব্যবহার করে আসছে। আমরা এই মহা ঔষধ কে আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারি।তবে সঠিক ভাবে জানিনা।এই হলুদ বলবর্ধক, রক্তপরিষ্কারক,  এ  গুণের কারণে বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন  বরবর্ণিলী, যোষিৎপ্রিয়া ও বর্ণবিধায়িনী। এতে আছে কফ, বাত, পিত্ত, ব্রণ, চর্মরোগ, শোথ, পাণ্ডু, কৃমি, প্রমেহ, অরুচি, উদরী ও বিষদোষ প্রশমন করার ক্ষমতা। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে । এটি ভেষজ ছাড়াও বর্ণ, রুচি ও দিপ্তির জন্য উপকারী হিসেবে চিহ্নিত।
হলুদ দারা যেসব রোগের চিকিত্সা হয় তা আলোচনা করা হল।

ডায়াবেটিস হলে :
হলুদের গাঠ পিষে, ঘিয়ে ভেজে নিয়ে চিনি মিশিয়ে কিছু দিন খেলে  ডায়াবেটিস সারে।তবে নিয়মিত খেতে হবে।

লিভারের রোগ :
জন্ডিস রোগে গায়ের রঙ ফ্যাকাশে হলে হলুদের রস ৫ থেকে ১০ ফোঁটা থেকে শুরু করে বয়সানুপাতে ১ চা চামচ পর্যন্ত একটু চিনি বা মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়.। একটু হলুদ গুঁড়া তার দ্বিগুণ পরিমাণ দইয়ে মিশিয়ে খেলে পিলে ও যকৃতের দোষ এবং জন্ডিস ভালো হয়।

কৃমি হলে :
কাঁচা হলুদের রস ১৫-২০ ফোঁটা (বয়সানুপাতে) সামান্য লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হয়। কৃমি দমনে কার্যকর ওষুধ, তাই একে কৃমিঘ বা কৃমিনাশকারীও বলে।

তোতলামি রোগ :
যাদের কথা আটকে যায় বা  তাড়াতাড়ি কথা বলার অভ্যাস, সে ক্ষেত্রে হলুদকে গুঁড়ো করে (কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করতে হবে) তা দুই-তিন গ্রাম পরিমাণে এক চা চামচ ঘিয়ে একটু ভেজে সেটাকে দুই-তিনবার চেটে চেটে খাওয়াতে হয়। এতে তোতলামি কমে যায়।

হামজ্বর হলে :
এ জ্বরে কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সাথে করলা পাতার রস ও অল্প মধু মিশিয়ে খাওয়ালে তা সারে।
পুরনো ঘুসঘুসে জ্বর, কোষ্ঠবদ্ধতা, হজমে দুর্বলতা, পুরনো কাশি :
মধু মিশিয়ে হলুদের গুঁড়ো খেলে এসব রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

পেটের  রোগ :
পেটের সংক্রমণ দমনে হলুদ খুবই কার্যকর। মাখন বা দুধের সাথে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে।পেটে বাতাস হলে  হলুদের গুঁড়ো বা রস পানিসহ খেলে খুবই উপকার হয়।

এলার্জি হলে :
অনেকের দেহ চাকা চাকা হয়ে ফুলে ওঠে, চুলকায়, লাল হয়ে যায় । এ ক্ষেত্রে নিমপাতার গুঁড়ো এক ভাগ, কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেটা দুই ভাগ ও শুকনো আমলকীর গুঁড়ো তিন ভাগ এক সাথে মিশিয়ে এক গ্রাম হারে সেটা সকালে খালি পেটে বেশ কিছু দিন খেতে হবে ।

পিপাসা পেলে :
5-7 গ্রাম কাঁচা হলুদ থেঁতলে নিয়ে দেড় কাপ আন্দাজ পানিতে ৫-১০ মিনিট সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ওই পানি চিনিসহ অল্প অল্প করে পান করলে  পিপাসা চলে যায়।

হাঁপানি হলে করনীয় :
হলুদ গুঁড়ো, আখের গুড় ও খাঁটি সরিষার তেল এক সাথে মিশিয়ে চাটলে হাঁপানি একটু উপশম হয়। এ ছাড়া এক চা-চামচ হলুদের গুঁড়ো এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার খেলে ভালো হতে পারে । এটি খালি পেটে খাওয়া ভালো।

সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগা ও কাশি হলে :
দুধে হলুদকে সিদ্ধ করে বেটে চিনি মিশিয়ে খেলে সর্দি সারে। পুরনো কফ রোগ, গলা ফোলা ও গলা জ্বালায় আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়ো ৩০ মি.লি. গরম দুধে মিশিয়ে খেলে  উপকার হয়। এছাড়াও খুব বেশি কাশির ঝোঁক হলে এক কাপ ঈষৎ উষ্ণ পানিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করলে কাশির উপশম হয়।

সর্দিজ্বর হলে :
গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো ও গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে সর্দিজ্বর কমে যায় ।

চোখওঠা রোগ :
চোখ উঠলে হলুদ থেঁতলে নিয়ে পানিতে মিশিয়ে চোখ ধুলে ও ওই রসে ডুবানো ন্যাকড়ায় চোখ মুছে ফেললে চোখের লাল ভাব কমে যায় ও তাড়াতাড়ি চোখ সেরে যায়। এটি দিনে 3-4 বার দিতে হয়।

বিষাক্ত ক্ষত ও ফোঁড়া হলে :
বিষাক্ত ক্ষত হলে তাতে কাঁচা হলুদ বাটায় গরুর পেশাব মিশিয়ে অল্প গরম করে কয়েক দিন দিনে-রাতে কয়েকবার লাগালে দূষিত পুঁজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়।পোড়া হলুদের ছাই পানিতে গুলে সেটা লাগালে ফোঁড়া পাকে ও ফেটে যায়; আবার গুঁড়ো লাগালে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

চর্মরোগ বা চুলকানি :
দাদ ও খোস পাঁচড়ায় হলুদের রস চামড়ায় লাগালে তা মধু মিশিয়ে খেলে রোগ সারে। এ ছাড়া হলুদ পিষে তিলের তেল মিশিয়ে গায়ে মাখলে চর্মরোগ সারে।

বাত ও প্রমেহ:
হলুদ পোড়া ছাই পানিতে মিশিয়ে (পাঁচ গ্রাম আন্দাজ) রাতে খেলে বাত সারে।
আবার প্রমেহে প্রস্রাবের জ্বালার সাথে পুঁজের মতো লালা ঝরলে কাঁচা হলুদের রস এক চা-চামচ নিয়ে একটু মধু বা চিনিসহ খেলে রোগের উপশম হয়।
বা, হলুদ পিষে আমলকীর সাথে খেলেও প্রমেহ উপশম হয়

মচকানো ব্যথায় :
কোনো জায়গায় মচকে গেলে বা আঘাত লাগলে চুন, হলুদ ও নুন মিশিয়ে গরম করে লাগালে ব্যথা ও ফুলা  কমে।

নাকের ক্ষত ও পাথুরি :
নাকের ভেতর ক্ষত হলে হলুদ গুঁড়ো মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।হলুদ ও পুরানো গুড় মিশিয়ে খেলে পাথুরিতে উপকার হয়।

রক্তশূন্যতা ও মূর্ছা :

হলুদ লোহাসমৃদ্ধ বলে এটির কাঁচা রস এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্রতি দিন খেলে রক্তশূন্যতা চলে যায়।হলুদ ও পুরনো গুড় মিশিয়ে খাওয়ালে মূর্ছা রোগ সারে।

গলার স্বর সমস্যা :
কোনো সাধারণ কারণেস্বরের সমস্যা হলে দুই গ্রাম  হলুদের গুঁড়ো চিনির শরবতে মিশিয়ে একটু গরম করে খেলে  উপকার হয়। গরম দুধে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে রাতে খেলে স্বরভঙ্গ ও গলাবসা ঠিক হয়ে যায়।

জোঁকে ধরলে :
জোঁকের মুখে হলুদ বাটা বা গুঁড়ো দিলে জোঁক ছাড়ে, ও রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

To know more about it visit our 
facebook  page

Post a Comment

Previous Post Next Post
Info-planet