খাদিজা (রা) জীবনের চকমপ্রদ সংক্ষিপ্ত ডাইরী- নজরুল ইসলাম টিপু
মূল পরিচিতি:
মূল পরিচিতি:
- নাম খাদিজা, পিতার নাম খুওয়াইলিদ। ভিন্ন নাম খাদিজাতুল কুবরা। জন্ম ৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দ মক্কায়।
- জান্নাতে নেতৃত্বদানকারী চার জন শ্রেষ্ঠ রমণীদের একজন। বাকিরা ফিরআউন স্ত্রী আছিয়া, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (সাঃ)
- দুনিয়ার জীবনে পরিপূর্ণ গুনের অধিকারী তিনজন রমণীদের মাঝে তিনিও একজন। বাকি দু'জন ফিরআউন স্ত্রী আছিয়া ও মারিয়াম বিনতে ইমরান।
- তিনি দুনিয়াতে প্রথম ইসলাম গ্রহণ কারী মহিলা।
- তিনিই প্রথম মুসলিম যিনি রাসুল (সা) থেকে প্রথম ওজু ও সালাতের নিয়ম শিখেন।
- রাসুল (সা) স্বয়ং নিজ হাতে তাঁর লাশ দাফন করেন।
- তিনিই দুনিয়ার অন্যতম মহিলা যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাম পেয়েছিলেন।
- মহান ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) যাঁকে সালাম করেছেন।
- তিনি ইসলামের ইতিহাসে উম্মুল মু'মীনিন তথা বিশ্বাসীদের মা হিসেবে হিসেবে সম্মানিত।
- জান্নাতে নেতৃত্বদানকারী চার জন শ্রেষ্ঠ রমণীদের একজন। বাকিরা ফিরআউন স্ত্রী আছিয়া, মারিয়াম বিনতে ইমরান ও ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (সাঃ)
- দুনিয়ার জীবনে পরিপূর্ণ গুনের অধিকারী তিনজন রমণীদের মাঝে তিনিও একজন। বাকি দু'জন ফিরআউন স্ত্রী আছিয়া ও মারিয়াম বিনতে ইমরান।
- তিনি দুনিয়াতে প্রথম ইসলাম গ্রহণ কারী মহিলা।
- তিনিই প্রথম মুসলিম যিনি রাসুল (সা) থেকে প্রথম ওজু ও সালাতের নিয়ম শিখেন।
- রাসুল (সা) স্বয়ং নিজ হাতে তাঁর লাশ দাফন করেন।
- তিনিই দুনিয়ার অন্যতম মহিলা যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাম পেয়েছিলেন।
- মহান ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) যাঁকে সালাম করেছেন।
- তিনি ইসলামের ইতিহাসে উম্মুল মু'মীনিন তথা বিশ্বাসীদের মা হিসেবে হিসেবে সম্মানিত।
খাদিজার (রা) পূর্বের জীবন
- ইতিপূর্বে তাঁর দুইবার বিয়ে হয়েছিল এবং দু'টোই স্বামীই অকালে মারা গিয়ে বিধবা হয়েছেন।
- প্রথম স্বামী আতিক ইবনে আবিদ, তাঁর ঘরে হারেসা নামে এক কন্যা ছিল।
- দ্বিতীয় স্বামী আবু হালা আত-তাইমী, তাঁর ঘরে হালা নামে কন্যা ও হিন্দ নামের এক পুত্র ছিল।
- দুর্বল ভিন্নমতে উল্লেখ আছে যে, আতিক দ্বিতীয় ও আবু হালা হলেন প্রথম স্বামী।
- আগের সন্তানেরা সবাই জীবিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে মুসলমান হয়েছিলেন।
- মতান্তরে প্রথম স্বামীর ঘরে হারিস নামে আরো একটি পুত্র ছিল, মক্কায় রাসুল (সা) কে হত্যা করার জন্য হামলা হলে তিনি প্রতিহত করতে গিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেন।
- তাঁর মৃত দুই স্বামীও অঢেল সম্পদের মালিক ছিলেন, তারাই সকল সম্পদ স্ত্রীকে দিয়ে যান।
- তিনি ছিলেন স্বামীর সম্পদের যথাযথ হেফাজত কারী ও বৃদ্ধিকারী।
- ফলে পরবর্তীতে তিনি হতে পেরেছিলেন সফল ব্যবসায়ী।
- তাঁর ব্যবসায়ের গণ্ডি সুদূর ফিলিস্তিন হয়ে সিরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
- ব্যবসায়ের এই রাস্তায় হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিতে হত।
- এই বিরাট ব্যবসাটি তিনি পুরোটাই মানুষ দিয়ে পরিচালনা করতেন।
- পুরো মানুষ নির্ভর এই ব্যবসায়ের জন্য, তিনি সর্বদা সৎ লোকের গুরুত্ব বুঝতেন।
- তদানীন্তন আরবে যে কয়জন ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন তিনিও তাঁদের একজন।
- তাঁর পিতাও ধনী লোক ছিলেন, সর্বদা মদ পান করতে ভালবাসতেন।
- মেয়ের জন্য কোন বিয়ের প্রস্তাব আসলে, আগে বরের সম্পদের হিসেব নিতেন।
সফল ব্যবসায়ী খাদিজা (রা)
- তিনি ব্যবসায়িকদের পূঁজি খাটাতেন, তারা তা দিয়ে ব্যবসা করে এর বিনিময়ে পারিশ্রমিক প্রদান করতেন।
- ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি একজন সৎ, দক্ষ ও আমানতদারী ব্যক্তির সন্ধানে ছিলেন।
- তদানীন্তন আরবে সকল বিচারে সব দিক দিয়ে সেরা হিসেবে এই কাজের জন্য মুহাম্মদ (সা) কে পাওয়া যায়। তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ব্যবসায়ীক চুক্তিতে আবদ্ধ হন।
- মোহাম্মাদ (সা) ফিলিস্তিনের বুশরা শহর হয়ে সিরিয়ায় যান সেখানে মালামাল বিক্রি করেন এবং সিরিয়া থেকে নতুন মালামাল কিনে মক্কায় ফিরে আসেন।
- বিদেশে বিক্রিত মালের ব্যবসায়ে খাদিজা (রা) দ্বিগুণের মত অভাবনীয় মুনাফা অর্জন করেন।
- অধিকন্তু ফেরার সময় যেসব মালামাল কিনে আনা হয়েছিল মক্কায় সেসবের চাহিদা ও বাজার মূল্য ছিল আরো অকল্পনীয়।
- ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণের বেশী মূল্যে এসব সামগ্রী ক্রয়ের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
- অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করা মুনাফা লাভে খাদিজা (রা) খুবই আশ্চাম্বিত হলেন।
- পেশাদারী ব্যবসায়ী খাদিজা (রা) মাথায় এই বিষয়টি ঘুরপাক খেতে থাকে।
- তাই এ বিষয়ে আরো জানতে, মুহাম্মাদ (সা) সাথে পাঠানো নিজের বিশ্বস্ত গোলাম 'মায়সারা' থেকে সিরিয়া যাত্রার বিস্তারিত খবর নেন।
- তাঁর বেচা-কেনা, লেন-দেন, আমানতদারিতা, ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথাবার্তায় উন্নত চরিত্র ও উত্তম নৈতিকতার প্রমাণ দেখতে পান।
- এতে তিনি বুঝতে পারেন এই ব্যক্তি কোন সাধারণ মানুষ নন এবং অনাগত জীবনে তিনি এক মহামানবে পরিণত হতে পারেন।
- তিনি ব্যবসায়িকদের পূঁজি খাটাতেন, তারা তা দিয়ে ব্যবসা করে এর বিনিময়ে পারিশ্রমিক প্রদান করতেন।
- ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি একজন সৎ, দক্ষ ও আমানতদারী ব্যক্তির সন্ধানে ছিলেন।
- তদানীন্তন আরবে সকল বিচারে সব দিক দিয়ে সেরা হিসেবে এই কাজের জন্য মুহাম্মদ (সা) কে পাওয়া যায়। তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ব্যবসায়ীক চুক্তিতে আবদ্ধ হন।
- মোহাম্মাদ (সা) ফিলিস্তিনের বুশরা শহর হয়ে সিরিয়ায় যান সেখানে মালামাল বিক্রি করেন এবং সিরিয়া থেকে নতুন মালামাল কিনে মক্কায় ফিরে আসেন।
- বিদেশে বিক্রিত মালের ব্যবসায়ে খাদিজা (রা) দ্বিগুণের মত অভাবনীয় মুনাফা অর্জন করেন।
- অধিকন্তু ফেরার সময় যেসব মালামাল কিনে আনা হয়েছিল মক্কায় সেসবের চাহিদা ও বাজার মূল্য ছিল আরো অকল্পনীয়।
- ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণের বেশী মূল্যে এসব সামগ্রী ক্রয়ের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
- অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করা মুনাফা লাভে খাদিজা (রা) খুবই আশ্চাম্বিত হলেন।
- পেশাদারী ব্যবসায়ী খাদিজা (রা) মাথায় এই বিষয়টি ঘুরপাক খেতে থাকে।
- তাই এ বিষয়ে আরো জানতে, মুহাম্মাদ (সা) সাথে পাঠানো নিজের বিশ্বস্ত গোলাম 'মায়সারা' থেকে সিরিয়া যাত্রার বিস্তারিত খবর নেন।
- তাঁর বেচা-কেনা, লেন-দেন, আমানতদারিতা, ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথাবার্তায় উন্নত চরিত্র ও উত্তম নৈতিকতার প্রমাণ দেখতে পান।
- এতে তিনি বুঝতে পারেন এই ব্যক্তি কোন সাধারণ মানুষ নন এবং অনাগত জীবনে তিনি এক মহামানবে পরিণত হতে পারেন।
খাদিজা (রা) কাছে বিয়ের প্রস্তাব
- একদা খাদিজা (রা) স্বপ্নে দেখেন যে, মক্কার আকাশ থেকে একটি সূর্য নেমে তাঁর ঘরে অবস্থান করছে। সে সূর্যের আলোর বিচ্ছুরণে চারিদিক আলোকিত হয়ে উঠেছে।
- তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য, এ বিষয়ে প্রজ্ঞাবান ও জ্ঞানী তাঁরই চাচাত ভাই ওয়ারাকা ইবনে নওফেলের কাছে যান।
- স্বপ্ন শুনে ওয়ারাকা খাদিজাকে (রা) কে এক অপ্রত্যাশিত বিষয়ের সুসংবাদ দেন, যে তোমার ঘরে নবুয়তের আলো প্রবেশ করবে এবং সারা দুনিয়ায় এর জ্যোতি ছড়াবে!
- এই স্বপ্ন খাদিজা (রা) কে আশাবাদী করিয়ে তুলে এবং আশা-প্রত্যাশার প্রহর গুনতে থাকে কবেতক তাঁর দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে এবং কিভাবে তা হতে পারে।
- কোরাইশ যুবকদের ধনিক শ্রেণী ও নেতারা বার বার তাঁর কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে থাকেন কিন্তু তিনি আগ্রহী নন বলে ফিরিয়ে দেন, কেননা তাঁর দেখা স্বপ্নের সাথে এসব প্রার্থীদের গুণাবলী খাপ খায়না।
- আবার তাঁর দেখা সুখময় স্বপ্নের আলোকে নতুন কিছুর সন্ধান থেকেও বসে থাকেন না, যার ইঙ্গিত তিনি প্রায় বুঝে ফেলেছিলেন।
যুবক মোহাম্মাদ (সা)
- রাসুল (সা) এর শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে মক্কা থেকে শত শত মাইল দূরে আবওয়া নামক স্থানে।
- যে বয়সে কুরাইশ বংশের হাশিমী যুবকেরা যৌবনটাকে ইচ্ছামাফিক ভোগ করার সুযোগ নিত।
- একই গোত্রের যুবক হয়েও তিনি নিদারুণ দুঃখ কষ্টের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন।
- বহু দূরের আত্মীয়ের বাড়ীতে মায়ের সাথে খুশীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন কিন্তু আসার পথে পথিমধ্যেই মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মাকে জনমে মত হারিয়ে ফেলেন।
- অজানা-অচেনা মানুষেরাই তাঁর সম্মানিত মাকে করবে শুইয়ে দেন।
- মা হারা অসহায় শিশু, ভগ্ন মনোরথে এতিম অবস্থায় মক্কায় ফিরে আসেন।
- মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই, সুখময় বেড়ানোর আনন্দ তাঁর মায়ের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই কঠিন এক জীবনের সূত্রপাত হয়।
- সম্মানিত পিতা আবদুল্লাহ মারা গিয়েছিলেন, যখন তিনি মায়ের গর্ভে।
- পরবর্তীতে তিনি একাকী আবওয়া মরুর সেই জায়গায় ঘুরে-ফিরতেন যেখানে তাঁর মাকে লোকেরা কবরে শুইয়ে দিয়েছিল। মায়ের অভাব, মর্মবেদনা প্রতিনিয়ত তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করত।
- আবার তিনি একাকী মক্কার সেই পরিত্যক্ত বাড়ীটিতে ঘুরে ফিরতেন যে বাড়ীতে তাঁর দুঃখিনী মা তাঁকে আগলে রেখেছিল।
- মৃত পিতার ভূমিকায় নাতিকে আগলে রেখেছিলেন সমৃদ্ধশালী দাদা বৃদ্ধ আবদুল মুত্তালিব।
- নাতীর শৈশবে ঘটে যাওয়া এসব কঠিন স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য দাদা সকল উপায় উপকরণ কাজে লাগাচ্ছিলেন। কিন্তু
- ভয়ঙ্কর আগন্তুক, মালাকুল মউত ততদিনে আবদুল মুত্তালিবের ঘর চিনে ফেলেছিলেন।
- রাসুল (সা) এর শৈশবেই দাদা আবদুল মুত্তালিবকেও অনন্ত যাত্রার পথিক হতে হয়।
- নিষ্পাপ বয়সে শিশু অবস্থাতেই তিনি একে একে সব অবলম্বনগুলো এভাবে হারিয়ে ফেলতে থাকেন।
- অতঃপর চাচা আবু তালিব কিশোর মুহাম্মাদ (সা) এর দায়িত্ব নেন।
- তিনি ভাতিজার প্রতি ছিলেন খুবই আন্তরিক কিন্তু পারিবারিক ভাবে ছিলেন চরম অসচ্ছল।
- শ্রদ্ধেয় চাচা নিজেই তাঁর বিরাট পরিবারের ভার বহন করতে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন।
- চাচা একটি সংবাদ সংগ্রহ করেন যে, খাদিজা (রা) একজন সৎ লোকের সন্ধানে আছেন।
- যাঁর মাধ্যমে আকর্ষণীয় মুনাফায় তিনি দূর দেশের স্বীয় ব্যবসা চালাবেন।
- নিরাপত্তার কারণে ভাতিজাকে দূর দেশে পাঠাতে চাচার অনাগ্রহ ছিল কিন্তু সৎ রোজগার আর অধিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য এটাই ছিল তখনকার সময়ে একমাত্র রাস্তা।
- তাছাড়া সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাবার কারণে তাঁকে অন্য সবার চেয়ে বেশী পারিশ্রমিক দেবার অগ্রিম ঘোষণা ছিল। ফলে এ দায়িত্ব তিনি নিয়েই নেন।
- রাসুল (সা) এর শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে মক্কা থেকে শত শত মাইল দূরে আবওয়া নামক স্থানে।
- যে বয়সে কুরাইশ বংশের হাশিমী যুবকেরা যৌবনটাকে ইচ্ছামাফিক ভোগ করার সুযোগ নিত।
- একই গোত্রের যুবক হয়েও তিনি নিদারুণ দুঃখ কষ্টের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন।
- বহু দূরের আত্মীয়ের বাড়ীতে মায়ের সাথে খুশীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন কিন্তু আসার পথে পথিমধ্যেই মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মাকে জনমে মত হারিয়ে ফেলেন।
- অজানা-অচেনা মানুষেরাই তাঁর সম্মানিত মাকে করবে শুইয়ে দেন।
- মা হারা অসহায় শিশু, ভগ্ন মনোরথে এতিম অবস্থায় মক্কায় ফিরে আসেন।
- মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই, সুখময় বেড়ানোর আনন্দ তাঁর মায়ের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই কঠিন এক জীবনের সূত্রপাত হয়।
- সম্মানিত পিতা আবদুল্লাহ মারা গিয়েছিলেন, যখন তিনি মায়ের গর্ভে।
- পরবর্তীতে তিনি একাকী আবওয়া মরুর সেই জায়গায় ঘুরে-ফিরতেন যেখানে তাঁর মাকে লোকেরা কবরে শুইয়ে দিয়েছিল। মায়ের অভাব, মর্মবেদনা প্রতিনিয়ত তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করত।
- আবার তিনি একাকী মক্কার সেই পরিত্যক্ত বাড়ীটিতে ঘুরে ফিরতেন যে বাড়ীতে তাঁর দুঃখিনী মা তাঁকে আগলে রেখেছিল।
- মৃত পিতার ভূমিকায় নাতিকে আগলে রেখেছিলেন সমৃদ্ধশালী দাদা বৃদ্ধ আবদুল মুত্তালিব।
- নাতীর শৈশবে ঘটে যাওয়া এসব কঠিন স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য দাদা সকল উপায় উপকরণ কাজে লাগাচ্ছিলেন। কিন্তু
- ভয়ঙ্কর আগন্তুক, মালাকুল মউত ততদিনে আবদুল মুত্তালিবের ঘর চিনে ফেলেছিলেন।
- রাসুল (সা) এর শৈশবেই দাদা আবদুল মুত্তালিবকেও অনন্ত যাত্রার পথিক হতে হয়।
- নিষ্পাপ বয়সে শিশু অবস্থাতেই তিনি একে একে সব অবলম্বনগুলো এভাবে হারিয়ে ফেলতে থাকেন।
- অতঃপর চাচা আবু তালিব কিশোর মুহাম্মাদ (সা) এর দায়িত্ব নেন।
- তিনি ভাতিজার প্রতি ছিলেন খুবই আন্তরিক কিন্তু পারিবারিক ভাবে ছিলেন চরম অসচ্ছল।
- শ্রদ্ধেয় চাচা নিজেই তাঁর বিরাট পরিবারের ভার বহন করতে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন।
- চাচা একটি সংবাদ সংগ্রহ করেন যে, খাদিজা (রা) একজন সৎ লোকের সন্ধানে আছেন।
- যাঁর মাধ্যমে আকর্ষণীয় মুনাফায় তিনি দূর দেশের স্বীয় ব্যবসা চালাবেন।
- নিরাপত্তার কারণে ভাতিজাকে দূর দেশে পাঠাতে চাচার অনাগ্রহ ছিল কিন্তু সৎ রোজগার আর অধিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য এটাই ছিল তখনকার সময়ে একমাত্র রাস্তা।
- তাছাড়া সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাবার কারণে তাঁকে অন্য সবার চেয়ে বেশী পারিশ্রমিক দেবার অগ্রিম ঘোষণা ছিল। ফলে এ দায়িত্ব তিনি নিয়েই নেন।
খাদিজার (রা) বিয়ের জন্য পাত্র পছন্দ
- খাদিজা (রা) জীবনে দেখা সেই স্বপ্নের প্রভাব তো ছিলই, তিনি স্বীয় গোলাম মায়সারা থেকে মোহাম্মদ (সা) সম্পর্কে সিরিয়া ভ্রমণের কিছু চিত্তাকর্ষক তথ্য জেনেছিলেন।
- হাজারো উটের পালের এই বহরে হাজার মাইলের আসা-যাওয়ার পথ-পরিক্রমায় সূর্যতাপ থেকে বাঁচতে তিনি আসমান থেকে মেঘের মত ছায়া পেয়েছেন।
- সিরিয়ার কাছাকাছি ভিন্ন পথের এক গির্জার নিকটবর্তী এক ছায়া-দার বৃক্ষের নিচে তিনি আশ্রয় নেন। গির্জার পাদ্রী আগ্রহী হয়ে গোলাম মায়সারার কাছে তাঁর পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন।
- পাদ্রী জানালেন, কিতাবের ভাষ্যানুসারে একজন নবীই এভাবে এ গাছের নীচে বসার কথা, সুতরাং তাঁর নিরাপত্তায় হুশিয়ার থেক।
- মক্কায় তিনি বিশ্বাসী হিসেবে সমাদৃত ছিলেন, নৈতিকতায় তিল পরিমাণ কোন দোষ ছিলনা।
- সিরিয়ার ব্যবসায়ে বিশাল আকারের মুনাফা অর্জনের সফলতা ও আশ্চর্যজনক ঘটনা শুনে খাদিজা (রা) মোহাম্মদ (সা) সম্পর্কে জানতে ও দেখা করতে আগ্রহী হলেন।
- সিরিয়া ফেরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর এটা প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি খাদিজা (রা) কে ভাল মুনাফা অর্জন ও যে সব জিনিষ কিনে এনেছেন সে সবের দারুণ বাজার চাহিদা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানান।
- খাদিজা (রা) আরবে এই প্রথম কোন প্রবল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষের দেখা পেলেন বলে নিশ্চিত হলেন।
- খাদিজা (রা) ঘরে মুহাম্মাদ (সা) এর আগমন, নির্গমন ও ব্যবসায়িক লাভালাভের বিস্তারিত বর্ণনা পেশের ধরণ দেখে অভিভূত হয়ে গেলেন।
- তিনি মোহাম্মদ (সা) এর প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুনত্ব ও অভিনবত্ব দেখতে পান।
- তিনি প্রায় শতভাগ নিশ্চিত হলেন যে, স্বপ্নে যে মহামানবের দৃষ্টান্ত দেখানো হয়েছে এটি তিনিই হবেন, কেননা তাঁর সকল আচরণই একজন মহামানবের সাথে তুলনীয়।
- তিনি যুবক মোহাম্মদ (সা) কে পছন্দ করেন এবং তাঁকে স্বামী বানাবার জন্য আশান্বিত হলেন।
- তাই তিনি ভাবতে রইলেন কিভাবে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো যায় এবং তার উপায়ই বা কি হতে পারে?
- খাদিজা (রা) জীবনে দেখা সেই স্বপ্নের প্রভাব তো ছিলই, তিনি স্বীয় গোলাম মায়সারা থেকে মোহাম্মদ (সা) সম্পর্কে সিরিয়া ভ্রমণের কিছু চিত্তাকর্ষক তথ্য জেনেছিলেন।
- হাজারো উটের পালের এই বহরে হাজার মাইলের আসা-যাওয়ার পথ-পরিক্রমায় সূর্যতাপ থেকে বাঁচতে তিনি আসমান থেকে মেঘের মত ছায়া পেয়েছেন।
- সিরিয়ার কাছাকাছি ভিন্ন পথের এক গির্জার নিকটবর্তী এক ছায়া-দার বৃক্ষের নিচে তিনি আশ্রয় নেন। গির্জার পাদ্রী আগ্রহী হয়ে গোলাম মায়সারার কাছে তাঁর পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন।
- পাদ্রী জানালেন, কিতাবের ভাষ্যানুসারে একজন নবীই এভাবে এ গাছের নীচে বসার কথা, সুতরাং তাঁর নিরাপত্তায় হুশিয়ার থেক।
- মক্কায় তিনি বিশ্বাসী হিসেবে সমাদৃত ছিলেন, নৈতিকতায় তিল পরিমাণ কোন দোষ ছিলনা।
- সিরিয়ার ব্যবসায়ে বিশাল আকারের মুনাফা অর্জনের সফলতা ও আশ্চর্যজনক ঘটনা শুনে খাদিজা (রা) মোহাম্মদ (সা) সম্পর্কে জানতে ও দেখা করতে আগ্রহী হলেন।
- সিরিয়া ফেরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর এটা প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি খাদিজা (রা) কে ভাল মুনাফা অর্জন ও যে সব জিনিষ কিনে এনেছেন সে সবের দারুণ বাজার চাহিদা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানান।
- খাদিজা (রা) আরবে এই প্রথম কোন প্রবল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষের দেখা পেলেন বলে নিশ্চিত হলেন।
- খাদিজা (রা) ঘরে মুহাম্মাদ (সা) এর আগমন, নির্গমন ও ব্যবসায়িক লাভালাভের বিস্তারিত বর্ণনা পেশের ধরণ দেখে অভিভূত হয়ে গেলেন।
- তিনি মোহাম্মদ (সা) এর প্রতিটি পদক্ষেপেই নতুনত্ব ও অভিনবত্ব দেখতে পান।
- তিনি প্রায় শতভাগ নিশ্চিত হলেন যে, স্বপ্নে যে মহামানবের দৃষ্টান্ত দেখানো হয়েছে এটি তিনিই হবেন, কেননা তাঁর সকল আচরণই একজন মহামানবের সাথে তুলনীয়।
- তিনি যুবক মোহাম্মদ (সা) কে পছন্দ করেন এবং তাঁকে স্বামী বানাবার জন্য আশান্বিত হলেন।
- তাই তিনি ভাবতে রইলেন কিভাবে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো যায় এবং তার উপায়ই বা কি হতে পারে?
খাদিজা (রা) বিয়ে
- ইতিপূর্বে যারা তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল তারা সবাই ধনী হলেও প্রকৃতিগত ভাবে লোভী কিন্তু মোহাম্মদ (সা) এমন নন, এই উত্তর তিনি মাঠেই পেয়েছেন।
- খাদিজা (রা) বয়স তখন চল্লিশ কিন্তু তখনও তিনি ছিলেন সুন্দরী, স্মার্ট ও ধনী।
- নারী হয়েও আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যবসা চালানোর মত কুলীন, বুদ্ধিমতী ও বিচক্ষণ।
- পরোপকারী, ব্যবহারে অমায়িক, গর্বহীন, পরিশ্রমী ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারিণী।
- তিনি বিয়ে করতে আগ্রহী এটা জানতে পারলে তাঁর জন্য সমস্যা হবে। তাই
- খুবই বিশ্বস্ত কাউকে খুঁজছিলেন যিনি একাজে নীরবে ভূমিকা রাখবেন।
- তাঁরই বান্ধবী নাফীসা বিনতে মুনাব্বিহ এ'কাজের জন্য বাছাই হলেন, তিনি মোহাম্মদ (সা) এর আত্মীয় হন।
- তিনি মুহাম্মাদ (সা) এর মতিগতি বুঝার জন্য বিয়েতে আগ্রহী কিনা বুঝতে চাইলেন।
- তিনি জানালেন, বিয়েটা তাঁর হাতে নেই কেননা একটি কনে পক্ষও থাকতে হয়।
- নাফিসা মোহাম্মদ (সা) কে বললেন, আমার কাছে ধনে, জনে, গুনে, সৌন্দর্য-খ্যাতিতে একজন সেরা নারীর খবর আছে।
- মোহাম্মদ (সা) জানতে চাইলের কে তিনি? উত্তরে খাদিজার নাম (রা) বলা হল, এতে তাঁর চেহারায় আনন্দের বৈশিষ্ট্যাবলী ফুটে উঠে, নাফিসা বুঝলেন তিনি ইতিবাচক।
- মোহাম্মদ (সা) বললেন, তিনি রাজী হবেন কিনা এ ব্যাপারে আপনি তাঁর সাথে আলোচনা করে দেখতে পারেন।
- ভিতরে ভিতরে দুই পক্ষ রাজি হওয়ায়, রাসুল (সা) তাঁর চাচা হামযাকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিয়ের প্রস্তাব পাঠান।
- মোহাম্মদ (সা) পক্ষে তার চাচা আবু তালিব এবং খাদিজা (রা) পক্ষে তাঁর চাচা আমর ইবনে আসাদ ও তাঁর ভাই আমর ইবনে খুয়াইলিদ প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বিয়ের খোতবা পড়ান রাসুল (সা) এর চাচা আবু তালিব।
- খাদিজা (রা) বাবা সেদিন বেশী মদপান করার কারণে লম্বা সময় অচেতন ছিলেন।
- পিতার অনুমতি ব্যতিরেকে আরবে কন্যার বিয়ে হত না, খাদিজা (রা) স্বাধীন হলেও পিতার অনুমতি দরকার ছিল।
- মদের নেশায় মত্ত পিতা থেকে খাদিজা (রা) আগেই কৌশলে নিজের বিয়ের অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন।
- বরের পক্ষ হতে মোহর হিসেবে বিয়েতে অল্পবয়সী দশটি উট উপহার দেন। কিছুদিন পরে আগের মোহরের সাথে বার উকিয়া স্বর্ণ যোগ করা হয়।
- সিরাতে ইবনে হিশামে আছে, বিশটি উট মোহর হিসেবে ধার্য ছিল। (ইবনে হিশাম ১/১৮৭-৮৯)
- ভিন্ন মতের আরেকটি তথ্য হল, মোহর হিসেবে ৫০০ স্বর্ণমুদ্রা ধার্য হয়েছিল। খাদিজা (রা) গোপনে এটা নিজেই রাসুল (সা) কে দিয়েছিলেন, যাতে করে তাঁর পিতাকে তা পরিশোধ করা হয়।
- উট জবাই করে মোহাম্মদ (সা) বিয়ের ওলীমা তথা বৌ-ভাত অনুষ্ঠান পালিত হয়েছিল।
- ইতিপূর্বে যারা তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল তারা সবাই ধনী হলেও প্রকৃতিগত ভাবে লোভী কিন্তু মোহাম্মদ (সা) এমন নন, এই উত্তর তিনি মাঠেই পেয়েছেন।
- খাদিজা (রা) বয়স তখন চল্লিশ কিন্তু তখনও তিনি ছিলেন সুন্দরী, স্মার্ট ও ধনী।
- নারী হয়েও আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যবসা চালানোর মত কুলীন, বুদ্ধিমতী ও বিচক্ষণ।
- পরোপকারী, ব্যবহারে অমায়িক, গর্বহীন, পরিশ্রমী ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারিণী।
- তিনি বিয়ে করতে আগ্রহী এটা জানতে পারলে তাঁর জন্য সমস্যা হবে। তাই
- খুবই বিশ্বস্ত কাউকে খুঁজছিলেন যিনি একাজে নীরবে ভূমিকা রাখবেন।
- তাঁরই বান্ধবী নাফীসা বিনতে মুনাব্বিহ এ'কাজের জন্য বাছাই হলেন, তিনি মোহাম্মদ (সা) এর আত্মীয় হন।
- তিনি মুহাম্মাদ (সা) এর মতিগতি বুঝার জন্য বিয়েতে আগ্রহী কিনা বুঝতে চাইলেন।
- তিনি জানালেন, বিয়েটা তাঁর হাতে নেই কেননা একটি কনে পক্ষও থাকতে হয়।
- নাফিসা মোহাম্মদ (সা) কে বললেন, আমার কাছে ধনে, জনে, গুনে, সৌন্দর্য-খ্যাতিতে একজন সেরা নারীর খবর আছে।
- মোহাম্মদ (সা) জানতে চাইলের কে তিনি? উত্তরে খাদিজার নাম (রা) বলা হল, এতে তাঁর চেহারায় আনন্দের বৈশিষ্ট্যাবলী ফুটে উঠে, নাফিসা বুঝলেন তিনি ইতিবাচক।
- মোহাম্মদ (সা) বললেন, তিনি রাজী হবেন কিনা এ ব্যাপারে আপনি তাঁর সাথে আলোচনা করে দেখতে পারেন।
- ভিতরে ভিতরে দুই পক্ষ রাজি হওয়ায়, রাসুল (সা) তাঁর চাচা হামযাকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিয়ের প্রস্তাব পাঠান।
- মোহাম্মদ (সা) পক্ষে তার চাচা আবু তালিব এবং খাদিজা (রা) পক্ষে তাঁর চাচা আমর ইবনে আসাদ ও তাঁর ভাই আমর ইবনে খুয়াইলিদ প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বিয়ের খোতবা পড়ান রাসুল (সা) এর চাচা আবু তালিব।
- খাদিজা (রা) বাবা সেদিন বেশী মদপান করার কারণে লম্বা সময় অচেতন ছিলেন।
- পিতার অনুমতি ব্যতিরেকে আরবে কন্যার বিয়ে হত না, খাদিজা (রা) স্বাধীন হলেও পিতার অনুমতি দরকার ছিল।
- মদের নেশায় মত্ত পিতা থেকে খাদিজা (রা) আগেই কৌশলে নিজের বিয়ের অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন।
- বরের পক্ষ হতে মোহর হিসেবে বিয়েতে অল্পবয়সী দশটি উট উপহার দেন। কিছুদিন পরে আগের মোহরের সাথে বার উকিয়া স্বর্ণ যোগ করা হয়।
- সিরাতে ইবনে হিশামে আছে, বিশটি উট মোহর হিসেবে ধার্য ছিল। (ইবনে হিশাম ১/১৮৭-৮৯)
- ভিন্ন মতের আরেকটি তথ্য হল, মোহর হিসেবে ৫০০ স্বর্ণমুদ্রা ধার্য হয়েছিল। খাদিজা (রা) গোপনে এটা নিজেই রাসুল (সা) কে দিয়েছিলেন, যাতে করে তাঁর পিতাকে তা পরিশোধ করা হয়।
- উট জবাই করে মোহাম্মদ (সা) বিয়ের ওলীমা তথা বৌ-ভাত অনুষ্ঠান পালিত হয়েছিল।
খাদিজা (রা) ও মোহাম্মাদ (সা) পারিবারিক জীবন
- খাদিজা (রা) পারিবারিক জীবন দু'ভাগে বিভক্ত; প্রথম পনের বছর ও পরবর্তী দশ বছর।
- শুরুর পনের বছর আগাগোড়াই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সন্মানীতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন; কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই দাম্পত্য জীবন উপভোগ করেন।
- ইসলাম গ্রহণের কারণে জীবনের বাকি দশ বছর প্রতিকূলতার মাধ্যমে কাটে। স্বামীকে সহযোগিতা, অবিচল বিশ্বাসের কারণে মানসিক ও শারীরিক হেন কষ্ট বাকি ছিলনা যা তাঁকে সইতে হয়নি।
- তাঁদের ঘরে চার কন্যা দুই পুত্রের জন্ম হয়। তাঁরা যথাক্রমে কাশেম, যায়নাব, আবদুল্লাহ (উপাধী তাইয়্যেব, তাহের) উম্মে কুলসুম, রুকাইয়্যা ও ফাতেমা (রা)
- বড় ছেলের নাম কাশেম ছিল বিধায় রাসুল (সা) কে আবুল কাশেম তথা কাশেমের পিতা বলে ডাকা হত। (আরবিতে আবুল অর্থ পিতা)
- প্রত্যেক সন্তান প্রায় দু'বছর অন্তর জন্ম গ্রহণ করেন।
- পুত্ররা সবাই মায়ের জীবদ্দশায় মারা যায়, আবদুল্লাহ প্রায় দু'বছর পর্যন্ত বেঁচেছিলেন।
- ফাতেমা (রা) ছাড়া সকল কন্যারা পিতা মোহাম্মদ (সা) জীবদ্দশায় মারা যায়।
- পিতার মৃত্যুর প্রায় ছ'মাসের মাথায় ফাতেমা (রা) মারা যান।
- যয়নাবের (রা) বিয়ে হয়েছিল তাঁরই খালাত ভাই আবুল আসের সাথে।
- উম্মে কুলসুম ও রুকাইয়্যার (রা) সাথে ধনী ও সমাজপতি ব্যক্তি আবু লাহাবের দুই পুত্র উতবা আর উতায়বার সাথে বিয়ে হয়। তাদের আকদ হয় কিন্তু বাসর হয়নি।
- ইসলাম প্রচারে আবু লাহাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাই প্রতিশোধ নিতে দুই পুত্রকে তাদের স্ত্রীদের তালাক দিতে বাধ্য করেন।
- অতঃপর উম্মে কুলসুমের সাথে ওসমান (রা) সাথে বিয়ে হয়। উম্মে কুলসুম অল্পদিন পরেই মারা যান। ফলে তাঁর ছোট বোন রুকাইয়্যাকেও তিনি বিয়ে করেন। তাঁদের কারো কোন সন্তানাদি হয়নি।
- বড় কন্যা যয়নাবের (রা) ঘরে যথাক্রমে পুত্র আলী ও কন্যা উমামার জন্ম হয়। আলী শিশুকালে মারা যায় এবং পরবর্তীতে উমামাকে আলী (রা) বিয়ে করেন। তাঁদের ঘরে কোন সন্তান ছিলনা। আলী (রা) মৃত্যুর পরে, মুয়াবিয়া ইবনে নাওফেল তাঁকে বিয়ে করেন।
- ছোট কন্যা ফাতেমা (রা) ঘরে হাসান ও হুসাইনের (রা) জন্ম হয়। কারবালার প্রান্তরে পরিবারের ছোট বড় সবাই শহীদ হয়ে গেলে ফাতেমা (রা) নাতি অসুস্থ শিশু জয়নুল আবেদীন প্রাণে বেঁচে যান। অনেকদিন তাঁর বংশ তালিকা যথাযথ ছিল। (পরবর্তীতে সুবিধাবাদীরা নিজেরাই নিজেদেরকে তাঁর বংশের সাথে ট্যাগ লাগিয়ে সৈয়দ হিসেবে প্রচার প্রকাশ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।)
- খাদিজা (রা) পারিবারিক জীবন দু'ভাগে বিভক্ত; প্রথম পনের বছর ও পরবর্তী দশ বছর।
- শুরুর পনের বছর আগাগোড়াই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সন্মানীতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন; কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই দাম্পত্য জীবন উপভোগ করেন।
- ইসলাম গ্রহণের কারণে জীবনের বাকি দশ বছর প্রতিকূলতার মাধ্যমে কাটে। স্বামীকে সহযোগিতা, অবিচল বিশ্বাসের কারণে মানসিক ও শারীরিক হেন কষ্ট বাকি ছিলনা যা তাঁকে সইতে হয়নি।
- তাঁদের ঘরে চার কন্যা দুই পুত্রের জন্ম হয়। তাঁরা যথাক্রমে কাশেম, যায়নাব, আবদুল্লাহ (উপাধী তাইয়্যেব, তাহের) উম্মে কুলসুম, রুকাইয়্যা ও ফাতেমা (রা)
- বড় ছেলের নাম কাশেম ছিল বিধায় রাসুল (সা) কে আবুল কাশেম তথা কাশেমের পিতা বলে ডাকা হত। (আরবিতে আবুল অর্থ পিতা)
- প্রত্যেক সন্তান প্রায় দু'বছর অন্তর জন্ম গ্রহণ করেন।
- পুত্ররা সবাই মায়ের জীবদ্দশায় মারা যায়, আবদুল্লাহ প্রায় দু'বছর পর্যন্ত বেঁচেছিলেন।
- ফাতেমা (রা) ছাড়া সকল কন্যারা পিতা মোহাম্মদ (সা) জীবদ্দশায় মারা যায়।
- পিতার মৃত্যুর প্রায় ছ'মাসের মাথায় ফাতেমা (রা) মারা যান।
- যয়নাবের (রা) বিয়ে হয়েছিল তাঁরই খালাত ভাই আবুল আসের সাথে।
- উম্মে কুলসুম ও রুকাইয়্যার (রা) সাথে ধনী ও সমাজপতি ব্যক্তি আবু লাহাবের দুই পুত্র উতবা আর উতায়বার সাথে বিয়ে হয়। তাদের আকদ হয় কিন্তু বাসর হয়নি।
- ইসলাম প্রচারে আবু লাহাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাই প্রতিশোধ নিতে দুই পুত্রকে তাদের স্ত্রীদের তালাক দিতে বাধ্য করেন।
- অতঃপর উম্মে কুলসুমের সাথে ওসমান (রা) সাথে বিয়ে হয়। উম্মে কুলসুম অল্পদিন পরেই মারা যান। ফলে তাঁর ছোট বোন রুকাইয়্যাকেও তিনি বিয়ে করেন। তাঁদের কারো কোন সন্তানাদি হয়নি।
- বড় কন্যা যয়নাবের (রা) ঘরে যথাক্রমে পুত্র আলী ও কন্যা উমামার জন্ম হয়। আলী শিশুকালে মারা যায় এবং পরবর্তীতে উমামাকে আলী (রা) বিয়ে করেন। তাঁদের ঘরে কোন সন্তান ছিলনা। আলী (রা) মৃত্যুর পরে, মুয়াবিয়া ইবনে নাওফেল তাঁকে বিয়ে করেন।
- ছোট কন্যা ফাতেমা (রা) ঘরে হাসান ও হুসাইনের (রা) জন্ম হয়। কারবালার প্রান্তরে পরিবারের ছোট বড় সবাই শহীদ হয়ে গেলে ফাতেমা (রা) নাতি অসুস্থ শিশু জয়নুল আবেদীন প্রাণে বেঁচে যান। অনেকদিন তাঁর বংশ তালিকা যথাযথ ছিল। (পরবর্তীতে সুবিধাবাদীরা নিজেরাই নিজেদেরকে তাঁর বংশের সাথে ট্যাগ লাগিয়ে সৈয়দ হিসেবে প্রচার প্রকাশ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।)
দাম্পত্য জীবনে খাদিজা (রা)
- চল্লিশ বছর বয়সে খাদিজা (রা) বিয়ে হয় তখন রাসুল (সা) এর বয়স ছিল পঁচিশ বছর।
- পঁয়ষট্টি বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন যখন রাসুল (সা) বয়স হয়েছিল পঞ্চাশ।
- এই বয়সের একজন স্ত্রী ঘরে থাকলেও তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভাবেন নাই!
- পঁচিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে রাসুল (সা) খাদিজাকে (রা) নিয়ে বেজায় সুখী ছিলেন।
- খাদিজা (রা) এর মাধ্যমেই রাসুল (সা) বাবা হবার গৌরব অর্জন করেছিলেন।
- বিয়ের পনের বছরের দিকে স্বামী মোহাম্মদ (সা) এর কাছে একাকীত্বে সময় কাটানো পছন্দনীয় হয়ে উঠে।
- মক্কা থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় পৌনে এক মাইল উচ্চতার এক দুর্গম গুহায় তিনি একাকীত্বের সময় কাটাতেন।
- সংসার, সন্তানাদির চিন্তা দূরে ফেলে দিয়ে তিনি হেরা গুহা নামক সেই স্থানের নির্জনতাকে পছন্দ করেছিলেন।
- এই পরিস্থিতিতেও খাদিজা (রা) রাসুল (সা) এর উপরে রাগ-গোস্বা , অভিমানের কিছুই করেন নি।
- ঘরে সন্তানাদি রেখে দৃশ্যত স্বামীর উদাস ভাব নিয়েও কোনদিন খোঁটা দেন নি।
- সংসার চালানোর ব্যাঘাতের কথা তুলে তাঁকে বিব্রত করা হয় নি। বরং
- স্বামী মোহাম্মদ (সা) এর খাবার শেষ হলে গেলে তিনি ফিরে আসতেন।
- খাদিজা (রা) অতিসত্বর খাবার প্রস্তুত করে খাওয়াতেন এবং কয়েক দিনের পরিমাণ খাবার আবারো বেঁধে দিতেন।
- কখনও নিজেই এই দুর্গম-দুস্তর পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে স্বামীকে দেখতে যেতেন।
- খাদিজা (রা) হেরা গুহায় অভিযোগ জানাবার জন্য যেতেন না।
- তিনি নিজ চোখে দেখতে চাইতেন তার মনের মানুষ কেমন আছে এবং তাঁর মুখে শুনতে চাইতেন যে, খাদিজা তুমি কেমন আছ?
- সেই গুহায় খাদিজা (রা) মহান আল্লাহ এবং জিব্রাইলের (আ) সালাম পেয়েছিলেন।
- মোহাম্মদ (সা) প্রথম যেদিন আসমানি ফেরেশতার সাথে কথা বললেন, সেদিন তার গাঁয়ে কাঁপুনি দিয়ে ভয়ানক জ্বর দেখা দিয়েছিল।
- খাদিজা (রা) সাহায্য চাইলে তিনি কম্বল মুড়ি দিয়ে সাহস যোগালেন এবং অতিশয় বৃদ্ধ দেশের প্রখ্যাত প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি ওয়ারাকা বিন নওফেলের কাছে পরামর্শ চাইতে নিয়ে গেলেন।
- নির্জনতার কারণে এসব সমস্যা বলে তিনি স্বামীকে বকাবকি তো করেন নি বরং তিনি সাহসের সাথে বলেছেন, আপনি ভয় পাবেন না, আপনার কোন ক্ষতি হবে না।
- আপনি অসহায়কে সাহায্য করেন, এতিমকে আশ্রয় দেন, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করেন; এ ধরনের মানুষকে আল্লাহ কোনদিন অপদস্থ হয় না।
- বদর যুদ্ধে রাসুল (সা) এর বড় মেয়ের জামাতা আবুল আস কাফের দলে ছিল এবং যুদ্ধে বন্ধী হয়ে পড়ে। তাঁকে মুক্ত করতে মুক্তিপণ সামগ্রীর মধ্যে আসে একটি গলার হাঁর। রাসুল (সা) তা হাতে নিলেন এবং সহসা ভালবাসার সেই হাঁরটি চিনে ফেলেন।
- সাহাবীদের বললেন, এটি খাদিজা (রা) হাঁর, বিয়েতে মেয়েকে উপহার দিয়েছিল, বহুবছর পরে আজ এটা এখানে এসেছে মুক্তিপণ হিসেবে। আমি এই হাঁরটি ফেরত দিতে চাই। সাহাবীরা সানন্দেই তা মেনে নিয়েছিলেন।
- রাসুল (সা) সর্বাবস্থায় জীবিত ও মৃত খাদিজার প্রতিচ্ছবিকেও এভাবে হৃদয়-মন উজাড় করেই ভালবাসতেন। আবার,
- খাদিজা (রা) একাধারে সহধর্মীনি, সঙ্গী, অভিভাবক, পরামর্শক হিসেবে দাম্পত্য জীবনকে উপভোগ্য করে তুলেছিলেন।
স্বামী মোহাম্মদ (সা) কাছে খাদিজা (রা) মর্যাদা
- রাসুলের (সা) স্ত্রীদের মধ্যে বয়সে সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী আয়েশা (রা) বলেন, তিনি খাদিজা (রা) এত প্রশংসা করতেন যে, আমি আত্ম-যাতনায় ভুগতাম এই চিন্তায় যে, তিনি একজন বুড়ির কাছে কি এমন কি পেয়েছিলেন?
- রাসুল (সা) উত্তরে বলেছিলেন, "খাদিজা আমার দুঃসময়ের সহযাত্রী। যখন সবাই আমাকে অস্বীকার করেছে তখন খাদিজা দৃঢ়তার সাথে আমাকে বিশ্বাস করেছে"।
- কোনদিন খাদিজাকে (রা) নিয়ে যেন কটূক্তি না করি সে ব্যাপারে সাবধান করেছিলেন কেননা এতে রাসুল (সা) অন্তরে চরম ব্যথা পান।
- এই ঘটনার পরে রাসুল (সা) অনবরত একমাস যাবৎ শুধু খাদিজা (রা) প্রশংসায় পঞ্চমুখ থেকেছেন!
- রাসুল (সা) এর কাছে কোন উপহার এলে তিনি সেসব খাদিজা (রা) জীবিত বান্ধবীদের কাছে পৌঁছিয়ে দিতেন, তিনি এসব বান্ধবীদের খবর রাখতেন।
- রাসুল (সা) এর কাছে এক বৃদ্ধা মহিলা প্রায় আসত। তিনি হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় তার সাথে কথা বলতেন। স্ত্রী আয়েশা (রা) প্রশ্ন করলেন, হে রাসুল (সা) ইনি কে? উত্তরে রাসুল (সা) জানালেন ইনার সাথে খাদিজার (রা) ভাল সখ্যতা ছিল।
- এক বৃদ্ধা নবীজির খবর নিতে বাড়ি এসেছিলেন। রাসুল তাঁকে দেখে অনেক উৎফুল্ল হলেন। ঘরের মেঝেতে নিজের চাদর বিছিয়ে বসতে দিলেন, গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করলেন। তিনি খাদিজাকে (রা) বললেন, ইনি আমার দুধ মা "হালিমা" (রা)। খাদিজা (রা) তাঁর অনেক খাতির যত্ম করলেন।
- হালিমা (রা) জানিয়েছেন তিনি কষ্টে আছেন এবং মানুষ কুয়ো থেকে পানি তোলার সমস্যায় ভুগেন। খাদিজা (রা) তাঁকে চল্লিশটি ছাগল উপহার দিলেন সাথে দিলেন একটি শক্তিশালী উট, যেটা কুয়ো থেকে পানি তুলে দিবে।
- খাদিজা (রা) ছিলেন শান্ত ও উদার প্রকৃতির। জান্নাতের ভিতরে মুক্তা দ্বারা নির্মিত অতি সুন্দর একটি ঘরের সুসংবাদ তিনি আল্লাহ থেকে পেয়েছিলেন। যেখানে হট্টগোল, কোলাহল কায়, ক্লেশ কষ্ট কিছুই থাকবেনা। ১
- তাঁর ইন্তেকালের পরে, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, জান্নাতের এক নদীর তীরে মণি-মুক্তোয় বানানো এক প্রাসাদে আমি খাদিজাকে দেখেছি। ২
- রাসুল (সাঃ) গভীর রাত্রে আল্লাহর কাছে কান্না-ভরা কণ্ঠে দোয়া করতেন এই বলে যে, "আল্লাহ জান্নাতে তুমি খাদিজাকে আমার করেই রাখিও"।
ব্যক্তি মর্যাদায় খাদিজা (রা)
- তদানীন্তন আরবে খাদিজা (রা) ব্যক্তিত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল অপরিসীম
- তাঁর চাল-চলন, কথা-বার্তা, আচরণ ছিল পরিমিত রুচিশীল ও মর্যাদাকর।
- অসম্ভব ধনী ব্যক্তি হিসেবে তাঁর ছিলনা কোন গর্ব-অহংকার।
- দুই স্বামী মারা যাবার পরেও তাঁকে খুবই সুন্দরী হিসেবে দেখা যেত।
- ধনে-জনে, মানে-সম্মানে সম অবস্থায় না হবার কারণে অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বিবাহের প্রস্তাব পাঠাতে কুণ্ঠিত বোধ করতেন।
- সে জন্য আরবের মানুষদের কাছে তাঁর দ্বিতীয় নাম ছিল 'তাহেরা' তথা পবিত্রা সুন্দরী।
- দুনিয়াতে তিনিই প্রথম ইসলামের দাওয়াত কবুল-কারী।
- তিনিই প্রথম মহিলা যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
- রাসুল (সা) থেকে তিনিই প্রথম নামাজ ও ওজুর নিয়মাবলী রপ্ত করেন।
- ইসলামের প্রাথমিক যুগে রাসুল (সা) যত বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করেছেন, সব ঘটনার যাতনা তিনিও সমান তালে সয়েছেন।
- রাসুল (সা) ইসলামের দাওয়াত দিয়ে গভীর রাত্রে ফিরে যখন দরজায় টোকা দিত, সাথে সাথেই দরজা খুলে যেত।
- রাসুল (সা) প্রশ্ন করেছিলেন, খাদিজা তুমি কিভাবে বুঝ আমি এসেছি?
- খাদিজা (রা) জবাবে বলেছিলেন, আমি আপনার আসার অপেক্ষায় দরজায় হেলান দিয়ে কান পেতে দাঁড়িয়ে থাকি।
- মুসলমানদের কল্যাণার্থে তাঁর সম্পদকে ব্যবহার করতে সবই রাসুল (সা) হাতে সোপর্দ করেন।
- একদা মক্কায় দুর্ভিক্ষ নেমে আসে; আলী (রা) বাবা চরম অর্থকষ্টে পড়ে যান।
- দশ বছরের কিশোর আলী (রা) কে তাঁদের ঘরে নিয়ে আসেন এবং যত্নে পালিত হন।
- তিনি ছিলেন সর্বোৎকৃষ্ট বালক এবং বালক হিসেবে তিনি সেখানেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
- ধনীর ছেলে বালক যায়েদ লুণ্ঠিত হয়ে মক্কার ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে খাদিজা (রা) ঘরে পৌঁছান এবং রাসুল (সা) খেদমতে নিয়োজিত হয়ে, আজীবন সাথে ছিলেন।
- পরে তাঁর পিতা-মাতা এসেও তাঁকে নিয়ে যেতে পারেন নাই। তিনি বলেছিলেন এদের চেয়ে কল্যাণকর কোন ভাল মানুষ হতে পারেনা, আমি এদের সাথেই থেকে যাব।
- এখান থেকে বুঝা যায়, পারিবারিক পরিমণ্ডলে খাদিজা (রা) কেমন অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন।
- খাদিজা (রা) তাঁর আগের ঘরের যেসব সন্তান ছিল তাদেরকেও আগলিয়ে রাখতেন এবং ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
- খাদিজা (রা) ও মোহাম্মাদ (সা) ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য ও পরোপকারের অনন্য নজীর দেখে আরবের আরেক ধনী আবু লাহাব (পরবর্তীতে দুষমন) তার দুই ছেলের জন্য খাদিজা (রা) দুই মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা পাক্কা করেন।
- পৃথিবীর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম চারজন মহিলার মধ্যে তিনি একজন; আবার সেই চারজন শ্রেষ্ঠতম মহিলার দের আরেক জন ফাতিমার (রা) তিনি মাতা। এই দিকে তিনি অন্যতম মর্যাদার অধিকারী।
- পৃথিবীতে যত মহিলা ইমান আনবেন, খাদিজা (রা) কেয়ামত পর্যন্ত সবার নিকট থেকে সওয়াব পেতে থাকবেন। এই মর্যাদার কারণে তিনি দুনিয়াতে বিরল সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী।
ইসলামের অগ্রযাত্রায় খাদিজা (রা)
- ইসলামের বিরোধিতা চারিদিকে বাড়তে থাকে, স্বামীকে পাগল, যাদুকর, গণক বলে নিন্দা করা হচ্ছিল।
- বাড়ির সামনে কাঁটা পোতা, খাদ্যে ও ঘরের মধ্যে পচা-নোংরা আবর্জনা নিক্ষেপ করা হচ্ছিল।
- পাথর মেরে আঘাত করা, মৃত প্রাণীর নাড়ী-ভুঁড়ি রাসুল (সা) কাঁধে তুলে আনন্দ প্রকাশ করছিল।
- মুহাম্মদ (সাঃ) খাদিজা দম্পতির প্রায় দুই বছর বয়সী নাদুস-নুদুস পুত্র আবদুল্লাহর মৃত্যুতে নারকীয় উল্লাস প্রকাশ করা হচ্ছিল!
- তাঁদেরকে নির্বংশ হিসেবে টিটকারি মারা হচ্ছিল; পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সুরা কাউসার নাজিল করে জনমের মত সান্ত্বনা দিলেন।
- সে ধরনের কষ্টকর সময়েও খাদিজা (রা) পাথরের মত শক্ত হয়ে রাসুল (সা) কে সাহস যুগিয়েছেন, তাঁকে সঙ্গ দিয়ে সব ভুলিয়েছেন এবং চরম ধৈর্যের সহিত সব সয়েছেন।
- ইসলামের প্রভাব বেড়ে যখন তা কাফিরদের সহ্য সীমার বাইরে চলে গেল, তখন কোরাইশ গোত্রের নেতারা বাকী সবাইকে নিয়ে ঐক্যজোট গঠন করে মুসলমানদের অবরোধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
- কোরাইশের অন্তর্গত বনি হাশিম ও বনি মুত্তালিব গোত্রের সবাইকে, আবুতালিব নামক গিরিপথে চারিদিকে আবদ্ধ করে রাখে।
- অবরোধ কারীরা খাদ্য-সামগ্রী আসার সমূদয় রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
- নিজ গোত্রের বাহিরে গিয়ে আবু লাহাব, আবু জেহেল অবরোধ কারীদের পক্ষ অবলম্বন করে।
- খাদিজা (রা) গোত্র এই অবরোধ কারীদের তালিকায় ছিলনা, তদুপরি তিনি রাসুল (সা) সাথে সেখানে অবস্থান করতে থাকেন।
- তিনি রাসুল (সা) প্রতিটি দুঃখ, কষ্ট, মর্ম-বেদনাকে নিজের করে নেন।
- তিনি তাঁর অর্থে আপন ভাইপোর মাধ্যমে উটের পিঠে করে নানা ফন্দি করে কিছুটা খাদ্য আনানোর ব্যবস্থা করতেন কিন্তু তা ছিল খুবই অপ্রতুল।
- গাছের পাতা, শুকনো গাছের ছাল সিদ্ধ করে মানুষ জীবন বাঁচাতে চেষ্টিত ছিল। এতে তাঁদের পায়খানা হত ছাগলের লেদির মত। এই অবরোধ প্রায় তিন বছরের মত স্থায়ী ছিল।
- অঢেল ধন-সম্পদের অধিকারী খাদিজা (রা) বিপদের দিনে স্বামীকে সঙ্গ দিয়েছেন, সবার সাথে গাছের ছাল খেয়ে জীবন ধারণ করেছেন।
- এই দুর্ভোগ ও কষ্টে খাদিজা (রা) শরীর ভেঙ্গে যায়; অবরোধ তুলে নেয়ার অল্পদিন পরেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
- নিজের সুখ, সম্পদ কে তুচ্ছ করে, স্বামীর বিপদে তাঁর কঠিন জীবনের সহযোগী হয়ে, বিপদ মাথায় নিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়েছে। তবুও স্বামীকে খোঁটা দেন নি।
- তিনি যখন মারা যান, তখন চারিদিক থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ, নির্যাতন, কটূক্তি, গালাগালি ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছিল।
-সময়টা এমন, ইসলাম কিভাবে বিজয় হবে, এর সামান্যতম লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না কিন্তু তিনি মৃত্যুর আগের মুহূর্তেও এই বিশ্বাসে দৃঢ় ছিলেন যে, স্বামী মোহাম্মাদ (সা) রাসুল হিসেবে সত্য, তাঁর দাবী সত্য, তাঁর আনিত দ্বীন সত্য, এটা বিজয়ী হবেই।
- খাদিজা (রা) মৃত্যু শয্যায় শায়িত, রাসুল (সা) বললেন, তোমার দুরবস্থা দেখে আমার খারাপ লাগছে। তবে এতে হয়ত আল্লাহ কল্যাণ লুকিয়ে রেখেছেন।
- রাসুল (সা) আবারো বললেন, "খাদিজা তুমি জান না, আল্লাহ চারজন বিখ্যাত মহিলাকে জান্নাতে বিয়ে পড়িয়েছেন, তার একজন তুমি"।৩
- খাদিজা (রা) কষ্টের মধ্যেও হেঁসে বললেন তাই! তার কষ্ট বেড়েই চলছিল।
- ৬১৯ খ্রিস্টাব্দের ২২শে নভেম্বর, ১০ই রমজান তিনি ইন্তেকাল করেন।
- রাসুল (সা) নিজ হাতে তাঁর লাশ দাফন করেছেন, মক্কার অদূরে জান্নাতুল মুয়াল্লা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
- তাঁর নামাজে জানাযা হয়নি কেননা তখনও জানাযার নামাজের নিয়ম চালু হয়নি।
- তাঁর মৃত্যুতে রাসুল (সাঃ) গভীর শূন্যতায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েন, তিনি চরম একাকীত্ব বোধ করতে থাকেন।
- খাদিজা (রা) মৃত্যুর পর পরই দুষমনের শত্রুতা প্রবল ও মারাত্মক হয়ে উঠে।
- রাসুল (সা) হত্যা করে চিরতরে ইসলামের বাতি নিভিয়ে দিয়ে সকল শক্তি একতাবদ্ধ হয়।
- সে বছরই আল্লাহ তাঁর রাসুল (সাঃ) কে তাঁর নিদর্শন সমূহ দেখিয়ে, সান্ত্বনা দিতে পবিত্র মেরাজে নিয়ে যান এবং মানব জাতীকে সম্মানিত করেন।
- কোরাইশের অন্তর্গত বনি হাশিম ও বনি মুত্তালিব গোত্রের সবাইকে, আবুতালিব নামক গিরিপথে চারিদিকে আবদ্ধ করে রাখে।
- অবরোধ কারীরা খাদ্য-সামগ্রী আসার সমূদয় রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
- নিজ গোত্রের বাহিরে গিয়ে আবু লাহাব, আবু জেহেল অবরোধ কারীদের পক্ষ অবলম্বন করে।
- খাদিজা (রা) গোত্র এই অবরোধ কারীদের তালিকায় ছিলনা, তদুপরি তিনি রাসুল (সা) সাথে সেখানে অবস্থান করতে থাকেন।
- তিনি রাসুল (সা) প্রতিটি দুঃখ, কষ্ট, মর্ম-বেদনাকে নিজের করে নেন।
- তিনি তাঁর অর্থে আপন ভাইপোর মাধ্যমে উটের পিঠে করে নানা ফন্দি করে কিছুটা খাদ্য আনানোর ব্যবস্থা করতেন কিন্তু তা ছিল খুবই অপ্রতুল।
- গাছের পাতা, শুকনো গাছের ছাল সিদ্ধ করে মানুষ জীবন বাঁচাতে চেষ্টিত ছিল। এতে তাঁদের পায়খানা হত ছাগলের লেদির মত। এই অবরোধ প্রায় তিন বছরের মত স্থায়ী ছিল।
- অঢেল ধন-সম্পদের অধিকারী খাদিজা (রা) বিপদের দিনে স্বামীকে সঙ্গ দিয়েছেন, সবার সাথে গাছের ছাল খেয়ে জীবন ধারণ করেছেন।
- এই দুর্ভোগ ও কষ্টে খাদিজা (রা) শরীর ভেঙ্গে যায়; অবরোধ তুলে নেয়ার অল্পদিন পরেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
- নিজের সুখ, সম্পদ কে তুচ্ছ করে, স্বামীর বিপদে তাঁর কঠিন জীবনের সহযোগী হয়ে, বিপদ মাথায় নিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়েছে। তবুও স্বামীকে খোঁটা দেন নি।
- তিনি যখন মারা যান, তখন চারিদিক থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ, নির্যাতন, কটূক্তি, গালাগালি ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছিল।
-সময়টা এমন, ইসলাম কিভাবে বিজয় হবে, এর সামান্যতম লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না কিন্তু তিনি মৃত্যুর আগের মুহূর্তেও এই বিশ্বাসে দৃঢ় ছিলেন যে, স্বামী মোহাম্মাদ (সা) রাসুল হিসেবে সত্য, তাঁর দাবী সত্য, তাঁর আনিত দ্বীন সত্য, এটা বিজয়ী হবেই।
- খাদিজা (রা) মৃত্যু শয্যায় শায়িত, রাসুল (সা) বললেন, তোমার দুরবস্থা দেখে আমার খারাপ লাগছে। তবে এতে হয়ত আল্লাহ কল্যাণ লুকিয়ে রেখেছেন।
- রাসুল (সা) আবারো বললেন, "খাদিজা তুমি জান না, আল্লাহ চারজন বিখ্যাত মহিলাকে জান্নাতে বিয়ে পড়িয়েছেন, তার একজন তুমি"।৩
- খাদিজা (রা) কষ্টের মধ্যেও হেঁসে বললেন তাই! তার কষ্ট বেড়েই চলছিল।
- ৬১৯ খ্রিস্টাব্দের ২২শে নভেম্বর, ১০ই রমজান তিনি ইন্তেকাল করেন।
- রাসুল (সা) নিজ হাতে তাঁর লাশ দাফন করেছেন, মক্কার অদূরে জান্নাতুল মুয়াল্লা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
- তাঁর নামাজে জানাযা হয়নি কেননা তখনও জানাযার নামাজের নিয়ম চালু হয়নি।
- তাঁর মৃত্যুতে রাসুল (সাঃ) গভীর শূন্যতায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েন, তিনি চরম একাকীত্ব বোধ করতে থাকেন।
- খাদিজা (রা) মৃত্যুর পর পরই দুষমনের শত্রুতা প্রবল ও মারাত্মক হয়ে উঠে।
- রাসুল (সা) হত্যা করে চিরতরে ইসলামের বাতি নিভিয়ে দিয়ে সকল শক্তি একতাবদ্ধ হয়।
- সে বছরই আল্লাহ তাঁর রাসুল (সাঃ) কে তাঁর নিদর্শন সমূহ দেখিয়ে, সান্ত্বনা দিতে পবিত্র মেরাজে নিয়ে যান এবং মানব জাতীকে সম্মানিত করেন।
উপসংহার, ধনীর হবার মাঝেই সফলতা আসেনা যতক্ষণ না অন্তঃকরণ সমৃদ্ধ না হয়। খাদিজা (রা) ছিলেন প্রতি কদমেই অনুসরণীয়। খাদিজা (রা) ও মোহাম্মদ (সা) বিয়েটি যেনতেন বিয়ে ছিলনা। জান্নাতে যার আয়োজন হয়েছিল এবং স্বয়ং আল্লাহর তাঁর কুদরতি হাতে এসব পরিচালনা করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত একটি হাদিসে আছে,
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আমি আমার রবকে একটি বিষয় জিজ্ঞাসা করেছি, আফসোস আমি যদি তা জিজ্ঞাসা না করতাম। আমি বলেছি, "হে আমার রব আমার পূর্বে অনেক রাসূল ছিল। তাদের কারো জন্য বাতাস অনুগত করে দেয়া হয়েছে। তাদের কেউ মৃতদের জীবিত করত। আল্লাহ্ বলেন, আমি কি তোমাকে ইয়াতিম পাই নি অতঃপর আশ্রয় দিয়েছি? আমি কি তোমাকে পথভোলা পাই নি অতঃপর পথ দেখিয়েছি? আমি কি তোমাকে অভাবী পাই নি অতঃপর তোমাকে সচ্ছল করেছি? আমি কি তোমার বক্ষ উন্মুক্ত করি নি? আমি কি তোমার থেকে বোঝা দূর করি নি? রাসূল বলেন, আমি বলেছি, অবশ্যই হে আমার রব”। [তাবরানি] হাদিসে কুদসী-৪১
এখনেই শেষ নয়, কেয়ামত পর্যন্ত মানুষ যাতে প্রতিনিয়ত স্মরণ করতে পারে, সে জন্য আল্লাহ এই ঘটনাটিকে পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দোহায় সন্নিবেশ করেছেন,
- তিনি কি তোমাকে এতিম হিসেবে পাননি? তারপর তোমাকে আশ্রয় দেননি ?
- তিনি তোমাকে পথহারা অবস্থায় পান, তারপর তিনিই পথের সন্ধান দেন!
- তিনি তোমাকে নিঃস্ব অবস্থায় পান, অতঃপর তিনিই তোমাকে ধনী করেছেন।
এখনেই শেষ নয়, কেয়ামত পর্যন্ত মানুষ যাতে প্রতিনিয়ত স্মরণ করতে পারে, সে জন্য আল্লাহ এই ঘটনাটিকে পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দোহায় সন্নিবেশ করেছেন,
- তিনি কি তোমাকে এতিম হিসেবে পাননি? তারপর তোমাকে আশ্রয় দেননি ?
- তিনি তোমাকে পথহারা অবস্থায় পান, তারপর তিনিই পথের সন্ধান দেন!
- তিনি তোমাকে নিঃস্ব অবস্থায় পান, অতঃপর তিনিই তোমাকে ধনী করেছেন।
- কাজেই এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না, প্রার্থীকে তিরস্কার করো না এবং নিজের রবের নিয়ামতের প্রকাশ করতে থাক। সূরা দোহা ৬-১১
১. বোখারী, মুসলিম
২. তাবারানী-আল আউসাত গ্রন্থ
৩. যে চারজনের বিয়ে পড়িয়েছেন তারা হল, খাদিজা (রা), মারইয়াম বিনতে ইমরান, মুসা (আ) বোন কুলসুম ও ফিরআউনের স্ত্রী আছিয়া
তথ্য সূত্র
- বিশ্বনবী - মাহবুব মুজাচ্ছাম আল হোদায়বী (অনুবাদ মাও. আবদুস সালাম)
- খাদিজা (রা) সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষণীয় ঘটনা - মুস্তফা মুহাম্মদ আবুল মা'আতী (অনুবাদ শাইখ আবদুর রহমান )
- ইসলামের ইতিহাস
- উইকিপিডিয়া
- বিশ্বনবী - মাহবুব মুজাচ্ছাম আল হোদায়বী (অনুবাদ মাও. আবদুস সালাম)
- খাদিজা (রা) সম্পর্কে ১৫০ টি শিক্ষণীয় ঘটনা - মুস্তফা মুহাম্মদ আবুল মা'আতী (অনুবাদ শাইখ আবদুর রহমান )
- ইসলামের ইতিহাস
- উইকিপিডিয়া
إرسال تعليق